1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
ক্রেতা সেজে টিয়াপাখি জব্দ দীঘিনালা বন বিভাগের - আলোকিত খাগড়াছড়ি

ক্রেতা সেজে টিয়াপাখি জব্দ দীঘিনালা বন বিভাগের

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেসবুকে টিয়াপাখির বাচ্চা বিক্রির জন্য পোস্ট দেন হাফিজুর রহমান নামে এক যুবক। পরে সে পোস্ট দেখে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে ৫টি টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার করেছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ।
রবিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী বাজার এলাকা থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রেংকার্য্য গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযানে অংশ নেন দীঘিনালার নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, হাজাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, মেরুং রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাফর উল্লাহ ও মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রথমে তারা ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন তারা। পরে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘পাখির বাচ্চাগুলো এখনো ছোট। ভালোভাবে উড়তে পারে না। উড়তে পারার সময় হলে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করা হবে। আপাতত বন বিভাগের হেফাজতে রয়েছে।’
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি বা বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা কিংবা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। টিয়া পাখির বাচ্চাগুলোকে বন বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ‘

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ